Social Icons

Featured Posts

শনিবার, ১ মার্চ, ২০১৪

ইলেক্ট্রনিক্সের হাতে খড়ি -প্রথম পাঠ

ইলেকট্রনিক্সের ধারনা:-
প্রথমে  ইলেক্ট্রনিক্স কি তা সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কি বলে  তা একটু দেখে নিই
“Electronics deals with electrical circuits that involve active electrical components such as vacuum tubes, transistors, diodes and integrated circuits, and associated passive interconnection technologies.”
”ইলেকট্রনিক্স তড়িৎ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব, গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী (semi conductor) যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়”"
ইতিহাস 
১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক (electrodes) বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ কাঁচের এক প্রকার নল (vacuum tube) উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রনিক্‌সের শুরু হয়েছে বলা হয় । 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রনিক্‌স প্রকৌশল রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার (Radio) এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রনিক্‌স নাম ধারণ করে।
উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯সালে সমন্বিত বর্তনী (integrated circuit or IC) উদ্ভাবনের আগে ইলেকট্রনিক বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক ভ্যাকিউম টিউব যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলোর গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আই সি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষ বা এক মিলিয়নেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।
আসুন এবার শুরু করা যাক 
আমরা জানি প্রতিটি পদার্থ অসখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত এগুলাকে বলা হয় অণু । এই অণু সমূহ আবার এক বা একাধিক ভিন্ন পদার্থের কণিকা দ্বারা গঠিত যেগুলাকে পরমাণু বলা হয় ।এই পরমাণু সমূহ আবার কিছু ক্ষুদ্র কণিকার সমন্বয়ে গঠিত এগুলাকে মৌলিক কণিকা বা Fundamental Particle বলা হয় । মৌলিক কণিকা সমূহ হল ১) ইলেকট্রন ২)প্রোটন ৩)নিউট্রন


পরমাণু এবং মৌলিক কণিকা

তড়িৎ প্রকৌশল ইলেক্ত্রনের প্রবাহ নিয়ে কাজ করে । ইলেকট্রন সমূহ নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে । ইলেকট্রনের আধান বা চার্জ ঋণাত্বক । প্রটন এবং নিউট্রন নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে । প্রটনের চার্জ ধণাত্বক নিউট্রনের কোন চার্জ নেই ।

ইলেকট্রন -Electron
ইলেকট্রিক ও ইলেক্ত্রনিক্স প্রকৌশল ইলেকট্রনের প্রবাহ নিয়ে কাজ করে তাই ইলেকট্রন সম্পর্কে ভালভাবে জানা প্রয়োজন । ইলেক্ট্রনের আধান বা charge ঋনাত্বক । একে e দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
ইলেক্ট্রনের আধান, e= 1.602*10^-19 coulomb
ইলেক্ট্রনের ভর , m=9.0*10^-31 kg
ইলেকট্রনের ব্যসারধ ,r=1.9*10^-15 meter
আধান এবং ভরের অনুপাত ,e/m=1.77*10^11 coulomb/kg
পরবর্তী টিউটোরিয়াল এর জন্য ভিজিট করু

এফ পি জি এ -FPGA ফিল্ড-প্রোগ্রামেবল গেইট অ্যারে

ফিল্ড-প্রোগ্রামেবল গেইট অ্যারে

একটি অলটেরা স্ট্রাটিক্স ২ জিএক্স এফপিজিএ
ফিল্ড-প্রোগ্রামেবল গেইট অ্যারে একটি অর্ধপরিবাহী চিপ যাতে লজিক ব্লক নামে কিছু প্রোগ্রামেবল লজিক অংশ এবং এই ব্লকগুলির মাঝে তারের সংযুক্তি থাকে। লজিক ব্লকগুলোকে প্রোগ্রাম করে বিভিন্ন প্রাথমিক গেইট, যেমন অ্যান্ড, এক্সর অথবা আরো জটিল কম্বিনেশনাল ফাংশন যেমন ডিকোডার বা গাণিতিক ফাংশন প্রণয়ন করা যায়। অধিকাংশ এফপিজিএ-তে লজিক ব্লকের সাথে মেমরি যুক্ত থাকে যা সাধারণ ফ্লিপ-ফ্লপ হতে পারে অথবা পুরোদস্তুর মেমরি ব্লকও হতে পারে।
সবগুলো লজিক ব্লকের মাঝে তারের সংযুক্তির কারনে সিস্টেম ডিজাইনারের কাছে এফপিজিএকে একটি এক-চিপের প্রোগ্রামযোগ্য ব্রেডবোর্ডের মত মনে হবে। এফপিজিএ তৈরি করার পর এটি কি কাজ করবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে যিনি এটির উপর প্রোগ্রাম করবেন তার উপরে। একারণেই একে “ফিল্ড-প্রোগ্রামেবল” বলা হয়।
এফপিজিএ সাধারণত তাদের অ্যাপ্লিকেশন-স্পেসিফিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (অ্যাসিক) প্রতিপক্ষ থেকে কিছুটা ধীরগতির হয়ে থাকে, খুব জটিল কোন ফাংশনের কাজ করতে পারেনা এবং কিছুটা বেশি বিদ্যুত শক্তি লাগে। কিন্তু এদের সুবিধা হচ্ছে এফপিজিএতে ডিজাইন করার সময় অনেক কম-লাগে ফলে বাজারে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়া যায়, এটিকে বারবার প্রোগ্রাম করা যায় ফলে ডিবাগিং-এ সমস্যা কম হয় এবং এদের ইঞ্জিনিয়ারিং খরচ কম। প্রস্তুতকারকরা কমদামী এফপিজিএ ও বাজারে ছেড়ে থাকেন যেটিকে একবার মাত্র প্রোগ্রাম করা যায় এবং আচরনের দিকদিয়ে এটি অ্যাসিকের নিকটবর্তী। সাধারণ এফপিজিএর উপর নকশা প্রণয়ন করার পর সাধারণত এই চিপে নকশা প্রোগ্রাম করে বাজারে ছাড়া হয়।
কমপ্লেক্স প্রোগ্রামেবল লজিক ডিভাইস” (সিপিএলডি) সাধারণ কাজের জন্য এফপিজিএর একটি বিকল্প। বিদ্যুত না থাকলেও এদের মাঝে প্রোগ্রাম নষ্ট হয় না।
এফপিজিএ বা সিপিএলডি কে প্রোগ্রাম করতে হলে প্রথমে কি কাজের জন্য এটি ব্যবহৃত হবে সেটি সার্কিট ডায়াগ্রাম (স্কিমেটিক) বা হার্ডওয়্যার ডেসক্রিপশন ল্যাঙ্গুয়েজ (এইচডিএল) দিয়ে তৈরি করতে হবে। সাধারণত জটিল ডিজাইনের জন্য এইচডিএলকেই পছন্দ করা হয়। এরপর এফপিজিএ প্রস্তুতকারকদের সরবরাহকৃত সফটওয়্যার দিয়ে স্কিমেটিক/এইচডিএল প্রোগ্রামকে এফপিজিএ/সিপিএলডির উপযোগী বাইনারি ফাইলে রুপান্তরিত করা হয়। এরপর সিরিয়াল ইন্টারফেস বা জেট্যাগ ইন্টারফেসের মাধ্যমে এই প্রোগ্রামকে নন-ভোলাটাইল মেমরিতে (যেমন ইইপিরম) সংরক্ষণ করা হয়। বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ার পরে এফপিজিএ এই মেমরি থেকে তার আন্তঃসংযোগ স্থাপন করে এবং প্রয়োজনীয় কাজের উপযুক্ত হয়।
আরো জানুন VHDL এবং  VLSI

ভি এল এস আই -VLSI ভেরি-লার্জ-স্কেল ইন্টিগ্রেশন

ভেরি-লার্জ-স্কেল ইন্টিগ্রেশন

অসংখ্য ট্রানসিস্টর বিশিষ্ট সার্কিটের সমন্বয়ে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের চিপ তৈরির প্রক্রিয়া হল ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন(ভি এল এস আই)। ৭০-এর দশকে যখন জটিল সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধনের সময় ভিএলএসআই-এর সূচনা হয়। আধুনিক ভিএলএসআই চিপে শত-সহস্র ট্রানসিস্টর থাকে। মাইক্রোপ্রসেসর ভিএলএসআই প্রযুক্তি বিশিষ্ট ডিভাইস।

একসময় বিভিন্ন চিপের বৈশিষ্ট্য হিসেবে ভিএলএসআই নাম সংযোজনের প্রচেষ্টা ছিল। এজন্য অতিবৃহৎ মাপনীর সমন্বয় (ইউএলএসআই) নামটিও ব্যবহৃত হত। পরে প্রায় সব ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক গেটবিশিষ্ট (বুলিয়েন লজিকের বর্তনীকে গেট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে, যা এক বা একাধিক ট্রানজিস্টর থেকে তৈরী) চিপের প্রচলন হওয়াতে এই বিশেষণ অপ্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায়। এখন শুধু ভিএলএসআই-ই অসংখ্য গেটবিশিষ্ট চিপ বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে তাও ব্যবহৃত হয় না কারণ এখন প্রায় সব চিপই ভিএলএসআই বা এর চেয়ে অধিক গেট সম্পন্ন।
২০০৮ সালের শুরুতে বাজারে আসা ইন্টেল ইটানিয়াম এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) ট্রানজিস্টর বিশিষ্ট প্রথম চিপ। সেমিকন্ডাক্টর থেকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট(আইসি) তৈরির প্রযুক্তি ৬৫ ন্যানোমিটার হতে ৪৫ ন্যানোমিটারে উন্নীত হওয়াতে এই ধরনের চিপের সংখ্যা আরও বাড়বে।
প্রথমিক সেমিকন্ডাক্টর ‘’’চিপগুলোতে’’’ শুধু একটি ট্রানসিস্টর থাকত। পরে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট তৈরির প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে আরও ট্রানসিস্টর যুক্ত করা সম্ভব হয়। তারপরের দিকের ‘’’ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটগুলোতে’’’ শুধু অল্প কিছু ডায়োড, ট্রানসিস্টর, রেজিস্টর ও ক্যাপাসিটর থাকত যাতে একটি আইসিতে এক বা অল্প সংখ্যক লজিক গেট তৈরি অর্থাৎ আরও ফাংশন যোগ করা সম্ভব হয়। লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন(এলএসআই) প্রযুক্তিতে শত শত গেট থাকে। বর্তমানে প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে চিপে শত সহস্র লক্ষ ট্রানসিস্টর এবং কোটি কোটি গেট থাকে।
বিভিন্ন ধরনের আইসির লজিক ‘’গেট’’ সংখ্যার ভিত্তিতে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। নিচে একটি সাধারণ শ্রেণীবিন্যাস উল্লেখ করা হল, যা আইসিতে গেট সংযোজনের ধারণা পরিষ্কারে সহায়তা করবে।
নাম সংক্ষিপ্ত রূপ গেট সংখ্যা বিশেষত্ব
স্মল স্কেল ইন্টিগ্রেশন এসএসআই ১০ এর কম
মিডিয়াম স্কেল ইন্টিগ্রেশন এমএসআই ১০-১০০ কমপক্ষে একটি লজিক ‘’ফাংশন’’
সম্পন্ন করার ক্ষমতা বিশিষ্ট
লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন এলএসআই ১০০-১,০০০টি একটি লজিক ‘’ফাংশন’’ সম্পন্ন
করার ক্ষমতা বিশিষ্ট
ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন ভিএলএসআই ১,০০০-১০,০০০টি
আলট্রা লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন ইউএলএসআই ১০,০০০-১০,০০,০০০টি

ভি এইচ ডি এল

ভিএইচডিএল বা ভিএইচসিক হার্ডওয়্যার ডেসক্রিপশন ল্যাংগুয়েজ, ডিজিটাল সার্কিট সাধারণত এফপিজিএ এবং এইসিক(AISC) ডিজাইন-এন্ট্রি ল্যাংগুয়েজ(মডেলিং টুল) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি হার্ডওয়্যার ডেসক্রিপসন ল্যাংগুয়েজ, কোনো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়। অর্থাৎ এটি একটি সিস্টেমের বিভিন্ন অংশের বিবরণ প্রকাশের কাজে ব্যবহৃত হয়, কোনো কর্মসূচি(প্রোগ্রাম)-র বিবরণের জন্য নয়।

কোড লেখার  প্রস্তুতি

আরটিএল কোডিং অর্থাৎ হার্ডওয়্যার ডিজাইনের জন্য একটি সিনথেসিস/ডিজাইন টুল প্রয়োজন। আজকাল অনেক ভিএইচডিএল সিমুলেটর বিনামূল্যে পাওয়া যায়, তবে এদের কার্যকারিতা বানিজ্যিক সংস্করণের চেয়ে কম হলেও এগুলো শিক্ষার জন্য যথেষ্ঠ। কোড লিখার জন্য অন্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানা সহায়ক ভূমিকা রাখে কিন্তু তা জরুরী নয়।
এফপিজিএ সিনথেসিস টুলও বিনামূল্যে পাওয়া যেতে পারে যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য প্রস্তুতকৃত বতনীসমূহ দেখার আকর্ষণীয় সুযোগ করে দেয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোডিং স্টাইলের কার্যকারিতা নিরূপণ সম্ভব। স্কিমেটিক ভিউয়ারের মাধ্যমে সংশ্লেষিত ডিজাইন দেখা সম্ভব।
কিছু ডিজাইন প্যাকেজের মাধ্যমে কোড না লিখেও অন্যভাবেও ডিজাইন করা সম্ভব যথা ব্লক ডায়াগ্রাম বা স্টেট ডায়াগ্রামের মাধ্যমে। আর এর মাধ্যমে জটিল স্টেট মেশিনের জন্য কোড টেম্পলেট তৈরি করা যেতে পারে।
প্রায় সব ডিজাইন টুলই ভেরিলগ ও ভিএইচডিএল সমর্থন করে এবং একই সাথে টার্গেট হার্ডওয়্যার হিসেবে এফপিজিএ বা সিপিএলডি ব্যবহার সম্ভব। নিচের সারণী প্রয়োজনীয ডিজাইন টুল/প্যাকেজ নির্বাচনে সহায়তা করতে পারে।

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

পিএসসি ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন।
অন্যদিকে সমমানের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ২৫৩ জন।



আজ সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল তুলে ধরবেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ গতকাল রোববার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেলা একটায় ফল পাওয়া যাবে।

ফলাফল দেখতে নিচের লিঙ্কে তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন 

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

জেএসসি-জেডিসির ফল প্রকাশ

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের গড় হার ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন শিক্ষার্থী।
আজ রোববার বেলা ১১টার কিছু আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের এ অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এই দুই পরীক্ষার মধ্যে জেএসসিতে পাশের হার ৮৯ দশমিক ৭১ ও জেডিসিতে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।
এবার প্রায় ১৯ লাখ পরীক্ষার্থী থাকলেও মোট ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
বেলা দুইটায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মুঠোফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে একযোগে প্রকাশ করা হবে(আমাদের ওয়েব সাইটেও পাবেন ।রেজাল্ট দেখতে নিচে তথ্য পূরন করে সাবমিট করুন )। কেন্দ্র সচিবদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা তাঁদের পরীক্ষার্থীর ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।
এর আগে বেলা একটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী এ ফল উপস্থাপন করবেন।
গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-মেইল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া ফলাফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য www.educationboard.gov.bdওয়েবসাইটের webmail ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল নিজ নিজ কেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ঠিকানা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।
খুদেবার্তার মাধ্যমে ফল পাওয়ার পদ্ধতি টেলিটক বাংলাদেশের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।
এবার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষায় পাসের হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়ার হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ।
শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে কোনো ফল পাওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আর আবেদন পদ্ধতি টেলিটক বাংলাদেশের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।
ফলাফল দেখতে নিচে সঠিক তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন