ইলেকট্রনিক্সের ধারনা:-
প্রথমে ইলেক্ট্রনিক্স কি তা সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কি বলে তা একটু দেখে নিই
“Electronics deals with electrical circuits that involve active electrical components such as vacuum tubes, transistors, diodes and integrated circuits, and associated passive interconnection technologies.”
”ইলেকট্রনিক্স তড়িৎ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব, গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী (semi conductor) যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়”"
ইতিহাস
১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক (electrodes) বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ কাঁচের এক প্রকার নল (vacuum tube) উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রনিক্সের শুরু হয়েছে বলা হয় ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার (Radio) এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রনিক্স নাম ধারণ করে।
উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯সালে সমন্বিত বর্তনী (integrated circuit or IC) উদ্ভাবনের আগে ইলেকট্রনিক বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক ভ্যাকিউম টিউব যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলোর গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আই সি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষ বা এক মিলিয়নেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।
আসুন এবার শুরু করা যাক
আমরা জানি প্রতিটি পদার্থ অসখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত এগুলাকে বলা হয় অণু । এই অণু সমূহ আবার এক বা একাধিক ভিন্ন পদার্থের কণিকা দ্বারা গঠিত যেগুলাকে পরমাণু বলা হয় ।এই পরমাণু সমূহ আবার কিছু ক্ষুদ্র কণিকার সমন্বয়ে গঠিত এগুলাকে মৌলিক কণিকা বা Fundamental Particle বলা হয় । মৌলিক কণিকা সমূহ হল ১) ইলেকট্রন ২)প্রোটন ৩)নিউট্রন
তড়িৎ প্রকৌশল ইলেক্ত্রনের প্রবাহ নিয়ে কাজ করে । ইলেকট্রন সমূহ নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে । ইলেকট্রনের আধান বা চার্জ ঋণাত্বক । প্রটন এবং নিউট্রন নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে । প্রটনের চার্জ ধণাত্বক নিউট্রনের কোন চার্জ নেই ।
ইলেকট্রন -Electron
ইলেকট্রিক ও ইলেক্ত্রনিক্স প্রকৌশল ইলেকট্রনের প্রবাহ নিয়ে কাজ করে তাই ইলেকট্রন সম্পর্কে ভালভাবে জানা প্রয়োজন । ইলেক্ট্রনের আধান বা charge ঋনাত্বক । একে e দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
ইলেক্ট্রনের আধান, e= 1.602*10^-19 coulomb
ইলেক্ট্রনের ভর , m=9.0*10^-31 kg
ইলেকট্রনের ব্যসারধ ,r=1.9*10^-15 meter
আধান এবং ভরের অনুপাত ,e/m=1.77*10^11 coulomb/kg
পরবর্তী টিউটোরিয়াল এর জন্য ভিজিট করু
প্রথমে ইলেক্ট্রনিক্স কি তা সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কি বলে তা একটু দেখে নিই
“Electronics deals with electrical circuits that involve active electrical components such as vacuum tubes, transistors, diodes and integrated circuits, and associated passive interconnection technologies.”
”ইলেকট্রনিক্স তড়িৎ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব, গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী (semi conductor) যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়”"
ইতিহাস
১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক (electrodes) বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ কাঁচের এক প্রকার নল (vacuum tube) উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রনিক্সের শুরু হয়েছে বলা হয় ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার (Radio) এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রনিক্স নাম ধারণ করে।
উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯সালে সমন্বিত বর্তনী (integrated circuit or IC) উদ্ভাবনের আগে ইলেকট্রনিক বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক ভ্যাকিউম টিউব যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলোর গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আই সি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষ বা এক মিলিয়নেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।
আসুন এবার শুরু করা যাক
আমরা জানি প্রতিটি পদার্থ অসখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত এগুলাকে বলা হয় অণু । এই অণু সমূহ আবার এক বা একাধিক ভিন্ন পদার্থের কণিকা দ্বারা গঠিত যেগুলাকে পরমাণু বলা হয় ।এই পরমাণু সমূহ আবার কিছু ক্ষুদ্র কণিকার সমন্বয়ে গঠিত এগুলাকে মৌলিক কণিকা বা Fundamental Particle বলা হয় । মৌলিক কণিকা সমূহ হল ১) ইলেকট্রন ২)প্রোটন ৩)নিউট্রন
তড়িৎ প্রকৌশল ইলেক্ত্রনের প্রবাহ নিয়ে কাজ করে । ইলেকট্রন সমূহ নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে । ইলেকট্রনের আধান বা চার্জ ঋণাত্বক । প্রটন এবং নিউট্রন নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে । প্রটনের চার্জ ধণাত্বক নিউট্রনের কোন চার্জ নেই ।
ইলেকট্রন -Electron
ইলেকট্রিক ও ইলেক্ত্রনিক্স প্রকৌশল ইলেকট্রনের প্রবাহ নিয়ে কাজ করে তাই ইলেকট্রন সম্পর্কে ভালভাবে জানা প্রয়োজন । ইলেক্ট্রনের আধান বা charge ঋনাত্বক । একে e দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
ইলেক্ট্রনের আধান, e= 1.602*10^-19 coulomb
ইলেক্ট্রনের ভর , m=9.0*10^-31 kg
ইলেকট্রনের ব্যসারধ ,r=1.9*10^-15 meter
আধান এবং ভরের অনুপাত ,e/m=1.77*10^11 coulomb/kg
পরবর্তী টিউটোরিয়াল এর জন্য ভিজিট করু