Social Icons

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট Dhaka Polytechinic Institute


বাংলাদেশের একটি প্রাচীন বৃহত্তমপলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এটি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম বর্ষে মাত্র ১২০ জন ছাত্র- ছাত্রী এবং চারটি টেকনোলজি (সিভিল, ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল পাওয়ার) নিয়ে ডিপ্লোমা- ইন-ইঞ্জিনিয়ারি কোর্স চালু হয় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ১১টি বিভাগ চলমান রয়েছে

ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত এর উত্তরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি এবং দক্ষিণে কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় (TTTC) এবং পশ্চিমে ঢাকা- টংগী হাইওয়ে

মূল ক্যাম্পাসে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, তিনটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, অফিস, লাইব্রেরী, ওয়ার্কশপ
এবং ল্যবরেটরী এবং একটি ৫০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম এছাড়া মূল ভবনের উত্তর
পাশে রয়েছে মসজিদ সংলগ্ন শহীদ মিনার

একাডেমিক টেকনোলজি সমূহের মধ্যে রয়েছে
 [] কম্পিউটার
[] ইলেকট্রনিক্স
[]ইলেকট্রিক্যা
[]মেকানিক্যাল
[] সিভিল
[]আর্কিটেকচার
[]অটোমোবাইল
[]রিফ্রিজারেশন এন্ডএয়ারকন্ডিশনিং [] ফুড
[১০]কেমিক্যাল
[১১]এনভায়রনমেন্ট

ছাত্রাবাস
ছাত্রদের জন্য চারটি এবং ছাত্রীদের জন্য
একটি আবাসিক হল রয়েছে
)লতিফ ছাত্রাবাস
)কাজী মোতাহার হোসেন ছাত্রাবাস
)জহির রাহয়ান ছাত্রাবাস
)ছাত্রীনিবাস

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট Chittagong Polytechinic Institute



দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পলিটেকনিক চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠিত হয়। ইন্সটিটিউটের ভূমির পরিমাণ ৩৫ একর।একটি ছাত্রীনিবাস চারটি ছাত্রাবাস রয়েছে। মূল একাডেমিক ভবনের সাথে সংযুক্ত আলাদা ভবনে একটি মিলনায়তন পাঠাগার আছে। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রিয়ভাবে দেশের সকল পলিটেকনিক পরিচালনা করে।

একজন অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উপাধ্যক্ষের সহযোগিতায় যাবতীয়
একাডেমিক, প্রশাসনিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডপরিচালিত হয়।

কোর্স
1)
সিভিল,
2)
ম্যাকানিক্যাল,
3)
ইলেট্রিক্যাল,
4)
পাওয়ার ,
5)
ইলেট্রনিক্স,
6)
কম্পিউটার
7)
এনভায়রনমেন্টাল
টেকনোলজি বর্তমানে চার বছরের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিরিয়ারিং কোর্স চালু
আছে।প্রত্যেক টেকনোলজির ছাত্র-ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবে পাঠ্য বাঙলা, ইঙরেজি, গণিত, পদার্থ,
রসায়ন, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের জন্য একটি ননটেকনিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ রয়েছে।

অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার ,শিক্ষক কর্মচারীরর
সংখ্যা প্রায় একশত পঞ্চাশ জন।

প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপর বাঙলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিকে এক,যোগে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত
নম্বর এসএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত স্কোরের সমম্বয়ে ফল প্রণীত হয়। অন লাইনে ভর্তি ফর্ম পূরণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিভাগ পলিটেকনিক পছন্দের সুযোগ থাকে। মেধা পছন্দের
ভিত্তিতে বিভাগ ইন্সটিটিউট নির্বাচন করা হয়। প্রতি বছর প্রথম দ্বিতীয় শিফটে বিভিন্ন
বিভাগে মোট ৯৬০জন ছাত্র- ছাত্রী ভর্তি করা হয়।

শিক্ষা পদ্ধতি
চার বছর মেয়াদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রনিং সহ আট সেমিস্টারে এই কোর্স শেষ হয়। পর্ব সমাপনী পরীক্ষার
ফলের ভিত্তিতে প্রতি সেমিস্টারে ৬৫% ছাত্র- ছাত্রী সরকারিভাবে বৃত্তি পেয়ে থাকে।
আবার,প্রতি বিভাগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী মাসিক ভাতা পায়