Social Icons

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট Bangladesh Swiden Polytechinic Institute

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই হ্রদের তীরে অবস্থিত।  এটি বাংলাদেশের একটি পুরাতন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মধ্যে অন্যতম৷ ১৯৬০ সালে এটির নির্মান কাজ শুরু হয়। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার সুইডিশ সরকারের যৌথ উদযোগে  সুইডিশ- পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি নামে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালে সুইডিশ সরকারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, পরবর্তীকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এটি বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট নামকরণ করা হয়। স্বতন্ত্র শৈলীর রাজনীতিমুক্ত ইন্সটিটিউট হিসেবে সারা দেশে এর সুনাম রয়েছে।১৯৫৮ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত সুইডিশ-পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অবটেকনোলজিতে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ ) প্রায় ৩০ জন ছাত্র অধ্যায়ন করতো। তাদেরকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে করাচি গিয়ে নিয়মিত পড়ালেখা করতে হতো, যা ছিল একটি বাঙ্গালি পরিবারে জন্য খুবই ব্যয়বহুল। এতে বাঙ্গালি ছাত্ররা প্রায় অসহায় হয়ে পড়েছিল। তখন তারা করাচির সুইডিশ- পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রধান উপদেষ্টা "মিস্টার মাক্স . লেদেন" এর সাথে দেখা করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে রকম একটি জাতীয় ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি ব্যাপারটি আগ্রহ
সাথে দেখেন। তিনি তখন তাদেরকে সরকারের কাছে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করার পরামর্শ দেন।
ছাত্ররা একত্রিত হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্পমন্ত্রী "জনাব .কে. খান" এর সাথে দেখা করেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রীপরিষদের প্রভাবশালী বাঙ্গালি মন্ত্রী। তার বাড়ী ছিল
চট্টগ্রামে (বর্তমান , কে, খান গ্রুপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা) তিনি তখন করাচিতে স্বপরিবারে বসবাস.করতেন। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করলেন এবং চট্টগ্রামের কাপ্তাইতে এই
ইন্সটিটিউটটি প্রতিষ্ঠা কারার প্রস্তাব করলেন। পরবর্তী কালে, কেন্দ্রীয় সরকারের আহবানে সুইডেন
থেকে আগত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির একটি দল কাপ্তাই সফর করেন এবং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে তাদের সম্মতি জানান। এর কিছুদিন পরই, ১৯৬০ সালে, “এসএএনটিএবিনামের একটি সুইডিশ নির্মান প্রতিষ্ঠান তাদের নির্মান কাজ শুরু করেন এবং ১৯৬৫ সালে এর নির্মান কাজ সমাপ্তি করেন।

বর্তমানে এই ইন্সটিটিউটটের দুটো ছাত্রাবাসে ২৭৬ জনের ছাত্রের আসন ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানে
1)
ইলেকট্রিক্যাল
2)
ম্যাক্যানিক্যাল,
3)
অটোমোবাইল,
4)
সিভিল(উড),
5)
কন্সট্রাকশন কম্পিউটার
বিভাগে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি শিক্ষাঅধিদপ্তর কারিগরি শিক্ষাবোর্ড যথাক্রমে প্রশাসনিক একাডেমিক বিষয়গুলো পরিচালনা করে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন