বাংলাদেশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে টেলিটকের পর এবার 3G সেবা প্রদানের লাইসেন্স পেল ৪টি মোবাইল ফোন অপারেটর । আর সবচেয়ে বেশি 3G সেবা প্রদানের জন্য গ্রামীন ফোন ১০ মেগাহার্জের লাইসেন্স কিনেছে ১৬৩২ কোটি টাকায় রবি ,বাংলালিংক ,এয়ারটেল ৫মেগাহার্জের জন্য লাইসেন্স কিনেছে ৮১৬ কোটি টাকায় । তবে সবচেয়ে বড় খবর এইযে 3G লাইসেন্সেয় অপারেটররা 4G সেবা চালু করতে পারবে এবং ৯ মাসের মধ্যে সকল জেলায় 3G কভারেজ দিতে না পারলে লাইসেন্স বাতিল হয়েযাবে । এ কারনে আমরা অতি দ্রুত দেশের সকল প্রান্ত থেকে 3G সুবিধা পাব একি সাথে কোন দীর্ঘ অপেক্ষা ছারা 4G নেটওয়ার্কেও আপগ্রেশানের সুযোগ পাব ।
3G নেটওয়ার্কে আমরা পাব অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট ,মোবাইলে ভিডিও কল ,মোবাইল টিভি ,জিপিএস নেভিগেশান ,উন্নত ভয়েস কলিং সুবিধা সহ অনেক কিছু । আর এটা বদলে দিবে আপ্নার ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা । ৪ টি বেসরকারি ও ১ টি সরকারি সহ মোট 3G অপারেটরের সংখ্যা হল ৫টি তবে বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ অপারেটর সিটিসেল এই নিলামে অংশ নেয় নি । তাই সিটিসেল গ্রাহকরা 3G সেবা থেকে বঞ্জিত হচ্ছেন ।
3G নেটওয়ার্কের লাইসেন্সে 4G আপগ্রেশানের সুযোগ থাকলেও 4G সবা পেতে হয়ত আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হতে পারে । কেননা 3G নেটওয়ার্ক 2G কম্পিটেবল হলেও 4G নেটওয়ার্ক 2G কম্পিটেবল নয় । অর্থাত আমরা 3G নেটওয়ার্কে 2G সেট ব্যবহার করতে পারলেও 4G নেটওয়ার্কে 2G ফোন ব্যবহার করতে পারবনা । ফলে অকার্যকর হয়ে পরবে ১০ কোটির বেশি 2G সেট । তখন আমাদের সকলকে কিনতে হবে 4G অথবা 3G ফোন । এজন্য 4G সংযোগ পেতেও আমাদের বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন